দুদকের মামলায় ফেরারি: ছদ্মনামে লুকিয়ে থেকেও ধরা!
ছবি- সংগৃহিত
‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’, এমন চিরন্তন সত্য বাণী ঘুরেফিরেই বাস্তব জীবনে দেখা যায়। অপরাধীরা লুকিয়ে থাকলেও শেষমেষ নানা নাটকীয়তার মাধ্যমে গ্রেপ্তার হতে হয়। তেমনই বাস্তব জীবনের উদাহরণ হচ্ছেন ফারুক বিন জামান বাবর ওরফে ফরহাদ জামান। অপরাধ লুকাতে ছদ্মনাম ফরহাদ জামান ব্যবহার করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স সার্টিফিকেট, টিআইএন সার্টিফিকেটের, বিনিয়োগ বোর্ডের সনদ, ফায়ার সার্ভিস সনদ, ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে একের পর এক অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে ছিলেন দীর্ঘ ১০ বছর। তবে তিনি এবার ধরা পড়েছেন। এবার বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পালা।
ইতোমধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ফারুক বিন জামান বাবর (প্রকৃত নাম) ও ১০ কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী। যদিও এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের নারায়ণগঞ্জ অফিস থেকে প্রথমে অপকর্ম ফাঁস হয়। ভুয়া বন্ড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন জাল নথিপত্রে ডুপ্লেক্স বোর্ড আমদানিতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে মেসার্স এসএম পলি কার্টুন প্যাকেজিংয়ের মালিক ফরহাদ ইবনে জামান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খায়রুল ইসলামের অপরাধ প্রথম নজরে আসে কাস্টমস অফিসের।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইন ও বিধি অনুসরণ করে যে কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ পরিচালনা করে থাকে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই মামলারও চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঈনুল বলেন, কমিশনের অনুমোদনক্রমে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। চার্জ গঠনের পর আদালতে বিচার কাজ শুরু হবে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি।