পারমাণবিক হামলার হুমকি রাশিয়ার
ছবি- সংগৃহিত
ইউক্রেনকে পালটা পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ। দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে যদি রাশিয়ার অভ্যন্তরে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে হামলা চালায় ইউক্রেন তাহলে মস্কোর পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি তৈরি হবে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনীয় কয়েকজন সামরিক কমান্ডার রাশিয়ার অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণক্ষেত্রে হামলার কথা ভাবছেন।
ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের নাম বা কথিত হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি। ইউক্রেনও তার এ হুমকির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
টেলিগ্রামে মেদভেদেভ লিখেছেন- এর অর্থ কী? এর অর্থ একটাই। আর তা হলো রাশিয়ার পারমাণবিক নীতির ১৯ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করা, যা পারমাণবিক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রনীতি।
তিনি লিখেছেন, এ কথা মনে রাখতে হবে।
রাশিয়ার ২০২০ সালের পারমাণবিক নীতির ১৯ অনুচ্ছেদে কয়েকটি পরিস্থিতির বর্ণনা রয়েছে। যেসব পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে কোনো পারমাণবিক হামলা বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র অথবা প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে তা মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার।
মেদভেদেভ তার বক্তব্যে নির্দিষ্টভাবে যে অনুচ্ছেদের কথা বলেছেন তাতে প্রচলিত অস্ত্রের হামলার জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পুতিনের হাতে ন্যস্ত। কিন্তু কূটনীতিকরা বলছেন, মেদভেদেভের মতো ক্রেমলিনের যুদ্ধবাজ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত তুলে ধরে। যারা মনে করেন, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া অস্তিত্ব রক্ষায় লড়াই করছে।