দ. আফ্রিকাকে যে কারণে নোবেল দিতে বললেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
ছবি- সংগৃহিত
আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে)ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ঠিক এ কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি দল নোবেল পুরস্কারের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো।
ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি দল ওই আদালতেই লড়ছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আল জাজিরা বলছে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বারবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার চলমান মামলার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এর আগে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসাবেও চিহ্নিত করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো লিখেছেন, ‘আজকে যদি কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য হয়ে থাকে, তবে তারা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি দল যারা ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে।’
এছাড়া আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি এবং পেরুর সরকারও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আগ্রাসন শুরুর সপ্তাহখানেক পরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেয় কলম্বিয়া। সেসময় গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট।