• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

দেড় লাখ মামলা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে: কোন পথে এগুচ্ছে বিএনপি

দেড় লাখ মামলা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে: কোন পথে এগুচ্ছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ৭ নভেম্বর হচ্ছে এই সরকারের তিন মাস। কিন্তু এখনো ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তির কার্যক্রম। এতে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার নিষ্পতি হলেও এখনো প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা এসব মামলাকে মিথ্যা ও গায়েবি বলে দাবি করে আসছে বিএনপি। পটপরিবর্তন হলেও এখনো এসব রাজনৈতিক মামলায় নিয়মিত আদালতের এক বারান্দা থেকে আরেক বারান্দায় ছুটতে হচ্ছে তাদের। আগের মতো গ্রেফতার আতঙ্ক না থাকলেও মামলার ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। বিশেষ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তি চান নেতাকর্মীরা। অন্যথায় তারা এ নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবেন। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই স্তরের কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে বলা হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ দুই কমিটি কাজ করবে। রাজনৈতিক হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও নেতারা বলছেন, মামলা প্রত্যাহারের কার্যকরী তেমন কোনো উদ্যোগ দেখছেন না তারা।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দেখছি কী হয়। তারপর আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশের মানুষ এত নির্যাতনের পরেও যাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) সবচেয়ে বেশি অবদান তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনার বিষয় হতে পারে, এটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যারা শেখ হাসিনার পতনের জন্য ১৫ বছর লড়ে সবকিছু ত্যাগ করে আজকের এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের মামলা এখনো যায়নি (নিষ্পতি) কেন? এটা স্বাভাবিকভাবে সবারই প্রশ্ন। সুতরাং এ বিষয়ে ব্যবস্থা যদি শিগগিরই করা না হয়, তাহলে যারা শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে তারা তো আর বসে থাকবে না।’

০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।