ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হয় যেভাবে, জানালেন ডিবি হারুন
ফাইল ছবি
পুরান ঢাকার গোপীবাগে শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে মধ্যরাতে ঢাকার জুরাইন রেললাইন সংলগ্ন বস্তি থেকে ককটেল ও পেট্রল বোমাসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব। এছাড়া ওই ট্রেনের দুই যাত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।
এদিকে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
হারুন জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘কাজী মনসুরকে গ্রেফতারের পর তার কাছে আমরা দুটি বিষয় জানতে পেরেছি। তার বড় ভাই, বড় মাপের নেতা এনামুল ইসলাম খন্দকার ও রবিউল ইসলাম নয়ন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে টাকা, ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিতরণ করেছে; নির্বাচনি ক্যাম্পগুলোতে তারা আগুন লাগাবে। ককটেল বিস্ফোরণ করবে, উদ্দেশ্য কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে না আসে। এই পরিকল্পনায় জড়িত পাঁচজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা ও ২০ পিস ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।’
নবী উল্লাহ নবীকে অর্থদাতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হারুন বলেন, ‘দুই দিন আগে তাদের হাইপ্রোফাইল ভিডিও কনফারেন্স ছিল। সেখানে প্রথমে আসে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। তারপর আসে সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার ও ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী এবং যুবদলের আটটি টিমের লিডার।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘সেই কনফারেন্সে ছিলেন কাজী মনসুর। কনফারেন্সে এক পর্যায়ে বলা হলো, বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনে; বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে এসে সুবিধাজনক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা। আরেকটি হলো কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী বগিতে অগ্নিসংযোগ করা; যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়, জনগণ চূড়ান্তভাবে ভীত হয়।’