ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে : ডব্লিউএইচও
প্রতিকী ছবি
বিভিন্ন দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপান ছাড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দু-তিন বছর ধরে এই প্রবণতা আরও গতিশীল হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে গড়ে প্রতি ৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের মধ্যে একজন এই বদঅভ্যাস ত্যাগ করেছেন। এর আগে এত ব্যাপক মাত্রায় ধূমপান ছাড়ার চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছিল ২০০০ সালে। সে বছর গড়ে ধূমপান ছেড়েছিলেন প্রতি ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কদের একজন।
বর্তমানে যে হারে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৫০টি দেশ ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমতে থাকলেও ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যায় শিগগির বড় কোনো হ্রাস ঘটার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও’র ভাষ্য, তামাকজনিত মৃত্যুর হারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘যেসব দেশ ধূমপান নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে, তামাকজনিত কারণে মৃত্যুর হার হ্রাস বা এ জাতীয় কোনো বড় পরিবর্তন দেখতে হলে সেইসব দেশকে অন্তত আরও ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থঅর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ধূমপান ও তামাকজনিত কারণে বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বে মৃত্যু হয় আশি লাখেরও বেশি মানুষের। এই মৃতদের মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ পরোক্ষ ধূমপায়ী। অর্থাৎ নিজেরা ধূমপান করেন না, কিন্তু ধূমপায়ীদের আশেপাশে থাকার কারণে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে মারা যান।