• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: সেই সহকারী মাস্টারের লাশ উদ্ধার

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: সেই সহকারী মাস্টারের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাটুরিয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি ফেরিডুবির ৬ দিন পর ফেরিটির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীরের (৩৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ফেরিডুবির স্থান থেকে ১২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. হামিদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজও হুমায়ুন কবীরের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

মৃত হুমায়ুন কবীরের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবীরের লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

১৭ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় কাভার্ডভ্যান, ট্রাকসহ ৯টি গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা।

গাড়ির চালক, সহযোগী ও ফেরির কর্মচারীসহ ২১ জনের মধ্যে ২০ জন নিরাপদে ফিরে আসতে পারলেও নিখোঁজ ছিলেন ফেরিটির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবীর। রজনীগন্ধা ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ট্রাক ও নিখোঁজ সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবীরকে খুঁজে বের করতে গতকাল পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায় বিশেষ উদ্ধারকারী নৌযান ঝিনাই-১।

হুমায়ুন কবীর ২০১১ সালে চাকরিতে যোগ দেন এবং বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন পাটুরিয়া আঞ্চলিক শাখা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামে। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম গৃহিনী এবং তার তিন সন্তান।

২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।